নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর টহলটিম গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করেছে। পাহাড়ি এলাকার ভূমি খেকোদের পাকড়াও করেছে সেনাসদস্যরা। এ নিয়ে হইচই পড়েছে সর্বত্র যারা রাজনৈতিক নেতাদের নামে কমিশন নিয়ে মাটি কাটার কাজ করছিলেন তারা গা-ঢাকা দিয়েছে।
সেনাবাহিনী ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের খুঁজছেন। গত বুধবার গভীররাতে অভিযানে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. হারূন অর রশিদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় সেনাবাহিনীর টিম ২টি মাটি বহনকারী ১০ চাকার ড্রামট্রাক, একটি মাটি কাটার এক্সেভেটরসহ ৪ জন শ্রমিককে আটক করেছে। আটকরা হলেন, ট্রাকচালক মো. আ. হান্নান মো. আকরামুল আহসান ড্রাম ট্রাক হেলপার, মো. আল আমীন ড্রাম ট্রাকড্রাইভার, ট্রাকচালক মো. আ. করিম। বাকিরা সেনাবাহিনীর টহল টিম দেখে পালিয়ে যায়।
সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দিনারপুর পাহাড়ি এলাকার গ্রাম কুড়াগ্রাম (মিয়াকান্দি) ১৩নং পানি উমদা ইউনিয়ন পানিউমদা এলাকায় বনজ পাহাড় কেটে বিক্রি করার কারণে লালমাটি ও টিলা কাটার ধুম চলছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে এসব টিলা কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল কিছু সুবিধাভোগীরা।
সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া টিলা কেটে জীব ও বৈচিত্র্যকে ক্ষতি প্রকৃতির ভারসাম্য হানি, ফসল, বৃক্ষরাজির ক্ষতি, মাটির ভূ-গঠনের পরিবর্তন পাহাড়ের বাইন্ডিং ক্যাপাসিটি নষ্ট করে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী জব্দ করা হয়।
আটক তিনটি গাড়ি ও গ্রেপ্তার ৪ জনকে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
টিএইচ